top of page

কর্নেলের স্মৃতি

প্রিয় কর্নেলের স্মৃতি

হারুন হাবীব

মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে যে সেনাপতির সঙ্গে আমার প্রায় সার্বক্ষণিক সম্পর্ক, যুদ্ধকর্মকা-ের অনেকটা সময় যাঁকে খুব কাছে থেকে দেখেছি, সেই প্রিয় সেনাপতিকে নিয়ে আমার অনেক গর্ব। কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তম মুক্তিযুদ্ধের এমনই এক সেনাপতি যাঁর নেতৃত্বে বাইশ হাজার তরুণ পাকিস্তান নিয়মিত বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের বিরুদ্ধে মরণপণ যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে নিজেদের ব্যক্তি জীবন ধন্য করেছিলেন। স্বাধীনতার চলি¬শ বছর পরও, ভাবতে ভাল লাগে যে, আমি সেই বাইশ হাজার যোদ্ধার একজন ছিলাম।
চার দশকের অভিজ্ঞতা থেকেও দৃঢ়চিত্তে বলতে পারি, ১১ নম্বর সেক্টরের প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার কাছে তাহের এমনই এক প্রিয় নামÑযিনি পাকিস্তানের সামরিক ও ধর্মতান্ত্রিক শোষণনিপীড়নের বিরুদ্ধে তাঁর আদর্শ ও রণকৌশলে নিজেকে জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের সামরিক কর্মকা-ের অন্যতম মহানায়ক হিসেবে সুপ্রিতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন।
১১ নম্বর সেক্টরের অঞ্চলটি ছিল বেশ বিস্তৃত। বৃহত্তর রংপুরের (বর্তমানে কুড়িগ্রাম) রৌমারী, ভূরুঙ্গামারী, উলিপুর থেকে বৃহত্তর ময়মনসিংহের জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা হয়ে সুনামগঞ্জ-কিশোরগঞ্জেরও কিছুটা অঞ্চল নিয়ে ছিল এ অঞ্চলের পরিধি। পাকিস্তান সেনাবাহিনী, সাবেক ইপিআর, পুলিশ থেকে বাঙালি সদস্য যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন, এ সেক্টরে তাঁদের সংখ্যা ছিল খুবই কম। এ যুদ্ধাঞ্চলের প্রাণশক্তি ছিল মূলত ছাত্র, গ্রাম্য যুবা, কৃষক, শ্রমিক, নিম্নবিত্ত চাকুররিজীবী ও গ্রামগঞ্জের সাধারণ যুব-তারুণ্য। অধিনায়ক তাহের ছিলেন সুবিশাল এই বাহিনীর মুখ্য অধিনায়ক, কার্যত গেরিলা তৎপরতা চালিয়ে যিনি সামরিক শক্তিধর পাকিস্তান বাহিনীকে পর্যুদস্ত করেছেন। আমার জানা মতে, সেদিনকার মেজর (পরে মেজর জেনারেল ও শীর্ষ আদালতের দৃষ্টিতে অবৈধ শাসক) জিয়াউর রহমান তাহেরের গেরিলা যুদ্ধ-রীতির কট্টর সমালোচক ছিলেন। কিন্তু তাহের বাস্তবতার স্বার্থেই ‘কনভেনশনাল ওয়ার’-এর রণনীতি অবলম্বন করেননি, নিজের সুচিন্তিত বিবেচনা থেকে একপা পিছপা হননি, এবং শেষ পর্যন্ত নিজেকে সফল প্রমাণিত করতে পেরেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল এমএজি ওসমানী এবং যুদ্ধ পরিচালনাকারী মুজিবনগর সরকার তাহেরের রণরীতিকে সমর্থন জানিয়েছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধের বিস্ময়কর সেনাপতি তাহের এমনই বিরল মানুষ যাঁকে না ভালোবাসার কোনোই সুযোগ নেই। মুক্তিযুদ্ধের মাঝ দিয়ে জেগে ওঠা সমাজকে নিজের চিন্তাচেতনায় তিনি সত্যিকার মুক্তির সন্ধান দিতে চেয়েছিলেন। রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতাই শুধু নয়, তিনি চেয়েছিলেন গণমানুষের সত্যিকার মুক্তি, নিপীড়ন ও অত্যাচার থেকে মুক্তি। এমন মানুষ খুব কমই জন্মায়Ñএঁরাই তো ক্ষণজন্মা। এসব কারণেই তাহের আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম নায়কদের অন্যতমÑযে মানুষ ঘুমন্ত, বৈষম্যপীড়িত দুর্ভাগা সমাজকে জগিয়ে দিতে, বদলে দিতে চেয়েছিলেন।
মনে পড়ে, পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে পালিয়ে আফগানিস্তান হয়ে তাহের ভারতে প্রবেশ করলেন মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে। জাতীয় স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হয়েছে, কিন্তু তাহেরের মত স্বাধীনতাকামী আটকে আছেন পাকিস্তান কতৃপক্ষের প্রখর নজরদারিতে। সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়নি তাঁর। অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে সবেমাত্র আমরা মুক্তিযুদ্ধের সৈনিক হয়েছি। আসাম-মেঘালয়ের সীমান্তের তেলঢালা ক্যাম্পে জুলাই মাসের কোনো একদিন প্রথম দেখা।
এরপর থেকে একাত্তরের বেশ কয়েকটা মাস, এবং বলতে গেলে, জেনারেল জিয়ার সামরিক শাসনের হাতে বন্দী হবার দিন কয়েক আগে পর্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে নিশঙ্কচিত্ত, খাঁটি এই দেশপ্রেমিকের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত যোগাযোগ অব্যাহত ছিল। প্রথম দেখাটার মতো শেষ দেখাটাও বড় অদ্ভুত। মুখে হাসি, বলিষ্ঠ শরীর, দৃঢ় পা ফেলে তেলঢালা ক্যাম্পের মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে হাত মিলিয়ে চলেছেন সদ্য পাকিস্তান থেকে আসা মেজর তাহের। হাতে একটি গলফ স্টিক। পাকিস্তান থেকে পালাবার সময় দুটো জিনিসই সাথে আনতে পেরেছিলেন তিনি; একটি গলফ ষ্টিক, অন্যটি ক্যামেরা। ক্যামেরাটা অবশ্য আমারই বেশি কাজে লেগেছিল; ইতিহাসের রণাঙ্গনে আমার সহযোদ্ধাদের, নানা রণাঙ্গনের অসংখ্য ছবি তোলার সুযোগ করে দিয়েছিল ক্যামেরাটা।
শেষ দেখার কথাটাই বেশি মনে পড়ে। মুক্তিযুদ্ধের যে প্রবাদপ্রতীম সেনাপতি রণাঙ্গনে একটি পা হারান, বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত হন, তাঁকেই জেনারেল জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনামলে প্রহসনমূলক গোপন বিচারে, এমন কি ‘দেশদ্রোহীতার’ অভিযোগ এনে, ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে হত্যা করা হয়! অনেককিছু ঘটে গেছে পঁচাত্তরের অগাস্টে স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিহত হবার পর থেকে। রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেও কুচক্রী মোশতাক ও খুনি মেজররা পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হয়েছে। সেনানিবাসের গোলযোগে জিয়াউর রহমান বন্দী। তাহেরই মুক্ত করলেন জিয়াকে সেই বন্দিত্ব থেকে। কিন্তু নিজের মুক্তিদাতাকে ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে বঙ্গবন্ধু খুনিদের অদৃশ্য দোসর জেনারেল জিয়া তাহেরকে বন্দী করতে উদ্যত হলেন।
ঢাকার এলিফেন্ট রোডে তাহেরের বড় ভাই বীর বিক্রম আবু ইউসুফ খানের বাড়িটাতে আগেও বেশ ক’বার গেছি। পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বরের ঘটনাপ্রবাহের পর চরম উচ্চাবিলাসী এবং একই সঙ্গে সামরিক আধিপত্যবাদী জিয়া দ্রুত ক্ষমতা কুক্ষিগত করে নিতে শুরু করেছেন। যে তাহের ক্যান্টনমেন্টের বন্দিদশা থেকে জিয়াকে মুক্তি করলেন, সেই তাহেরকেই বন্দী করার প্রচেষ্টা নিলেন জিয়া! অনেকদিন দেখা নেই তাহের, ইউসুফ ভাইÑএঁদের সঙ্গে। কোথায় কি হচ্ছে বুঝতে পারছি না। একদিন গিয়ে উপস্থিত হলাম। কড়া নাড়তেই ইউসুফ ভাই এসে দরজা খুলে দিলেন। শূন্য বাড়ি। ইউসুফ ভাইকে বেশ উদ্বিগ্ন মনে হলো। হঠাৎ বলে¬ন, কর্নেলের সঙ্গে দেখা করবে? সে পরিস্থিতিতে অবাক হবারই মত প্রশ্ন। বললাম, চাই বৈকি, তিনি এখানে!
ইউসুফ ভাই হাত ধরে আমাকে ভিতরে নিয়ে গেলেন। ড্রইং রুমের ঠিক মাঝখানের সোফাটায় বসে আছেন আমাদের অধিনায়ক। বেশ চিন্তিত দেখাচ্ছিলো। সোফাটার একপাশে রাখা ক্রাচ। পা হারাবার পর ওটাতে ভর দিয়েই চলতে হতো ওঁকে। কাছে গিয়ে করমর্দন করে বোকার মত জিগ্যেস করলাম, জিয়াউর রহমান নাকি আপনাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে? তাহের হাসলেন, বললেন, সে রকমই তো মনে হচ্ছে। একটু সময় নিয়ে দৃঢ়চিত্ত হয়ে বললেন, জিয়া একটা বিশ্বাসঘাতক, প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের নায়ক, জাতির অনেক বড় ক্ষতি করবে সে। উৎকণ্ঠা নিয়ে প্রশ্ন করলাম, এখন কী করবেন, কোথায় পালাবেন আপনি? কিছুটা রেগে, আমার হাতে জোড়ে একটা চাপ দিয়ে তাহের পাল্টা প্রশ্ন করলেন, পালাতে হবে কেন! মুক্তিযুদ্ধ কি শেষ নাকি? আমরা পাকিস্তানিদের তাড়িয়েছি, রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা লাভ করেছি, কিন্তু পাকিস্তানিদের প্রেতাত্মারা আছে। ওদের বিরুদ্ধে নতুন যুদ্ধে নামতে হবে। আমি না পারলেও তোমরা, আরও যে নতুনেরা আছে, আরও যারা আসবেÑতারাই সে যুদ্ধ চালাবে। ভয় পেয় না, এ দেশে মুক্তি আসবেই।
সেই শেষ দেখা। কয়েকদিন পরই জানা গেল তিনি গ্রেফতার হয়েছেন। ঔপনিবেসিক ইংরেজ যেভাবে খুদিরাম, সূর্যসেনসহ দেশপ্রেমিক জাতীয় বীরদের হত্যা করেছিল, ঠিক সেভাবেই স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে বীর উত্তম তাহেরকে হত্যা করা হলো।
১৯৭৬ সালের ১৭ জুলাই গোপন সামরিক আদালতে কর্নেল তাহেরসহ ১৭ জনকে শাস্তি দেয়া হলো। আরও বিস্ময়ের ব্যাপার যে, তথাকথিত রায়টি ঘোষিত হবার মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দ-াদেশ কার্যকর করা হলো। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তাহেরের ফাঁসি কার্যকর হলো। জাতীয় এই বীর বিন্দুমাত্র শঙ্কাবোধ করেননি ফাঁসির মঞ্চে উঠতে। এরপর তাঁর মৃতদেহকে নেত্রকোনার কাজলা গ্রামে মাটিচাঁপা দিয়ে রাখা হলো।
আমি তখন বাসস-এর নবীন সংবাদকর্মী। সংবাদটি জানার পর থেকে চেয়ারে নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি। সবাই তখন প্রচ- অসহায়। মুক্তিযুদ্ধে আমার ঘনিষ্ঠজন এবং তাহেরের অগ্রজ আবু ইউসুফ খান বীর বিক্রম, তাহেরের অনুজ আনোয়ার হোসেনÑএঁরা সবাই বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত। কোথায় যাবেন, কার সাথে কথা বলবেন, কী বলবেন!
আইনজীবী আতাউর রহমান খান, আমিনুল হক, গাজীউল হকসহ অনেকেই এ অবৈধ গোপন বিচারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাবার চেষ্টা করেছিলেন। সে চেষ্টা তাঁদের সফল হয়নি। তাহেরের বিচারটি কতটা অবৈধ, বর্বরতাপূর্ণ ছিল তা সামরিক ফরমান-১৬ নামের আদেশটিতেই দেখা যায়। ওতে বলা ছিলÑএকটি গোপন বিচার অনুষ্ঠিত হবে এবং বিচার সংক্রান্ত কোনো তথ্য প্রচার ও প্রকাশ করা যাবে না। বিচারের সঙ্গে সংশি¬ষ্টরাও কোনো কিছু প্রকাশ করতে পারবে না বলে শপথ নিতে হবে এবং এ শপথ ভঙ্গ করলে শপথ ভঙ্গকারীদের ৭ বছরের সাজা দেয়া হবে। এ ছাড়া এ আদালতে যাদের বিচার হবে, তারা কোনো কোর্টে আপিল করতে পারবে না। কাজেই সামরিক ফরমানের অধীনে বিচারের ফলে যে রায় হয়েছিল, তার বিরুদ্ধে কোনো আপিল করা গেল না। বিচারের কারণ কেউ জানতে পারলেন না, এমন কী দ-িতদের স্বজনরা পর্যন্ত নয়! এ আইন, যা নিকৃষ্টতম কালাকানুন, কোনো সভ্য যুগে চলতে পারে না। এ ছিল একটি মধ্যযুগীয় বিচারÑযা সংবিধান পরিপন্থী ও অবৈধ।
তিনযুগ পর হলেও বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের বিচার হয়েছে। খুনিরা শাস্তি পেয়েছে। সামরিক শাসক জিয়ার ৫ম সংশোধনী অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন দেশের শীর্ষ আদালত। সপ্তম সংশোধনী বাতিল করে জেনারেল এরশাদের সামরিক শাসনকেও অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হয়েছে। এসবই জাতীয় ইতিহাসের কলঙ্ক ধুয়ে লাখো শহীদের রক্তেভেঁজা মাটিকে নতুন করে পবিত্র করার নতুন ইতিহাস। তাহের হত্যার গোপন বিচারের জন্য সামরিক আদালত, এ সংক্রান্ত সামরিক ফরমান এবং গোপন বিচারকেও অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করেছেন দেশের শীর্ষ আদালত। অনেক পর হলেও জাতির ললাট থেকে আরেকটি কলঙ্ক দূর হয়েছে।
আমাদের প্রিয় কর্নেল আর কখনো ফিরে আসবেন না স্বশরীরে, কিন্তু তিনি বেঁচে থাকবেন জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের প্রবাদপ্রতীম সেনাপতি হিসেবে, মুক্তির বারতাবাহী দেশপ্রেম ও সাহসের মুখ্য প্রতীক হিসেবে। ১৪ নভেম্বর, ১৯৭১। ঐতিহাসিক কামালপুর রণাঙ্গনে পা হারালেন কমান্ডার। দ্রুত তাঁকে ভারতীয় সীমান্ত অঞ্চলে নেয়ার পর রণাঙ্গনের নানা জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা মুক্তিযোদ্ধারা অধিনায়ককে দেখতে জড়ো হলো। একটি পা প্রায় বিচ্ছিন্ন। অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, তিনি নির্দেশ দিলেন, যার যার পজিশনে ফিরে যাও, কামালপুর দখল কর, আমার জন্যে ভেব না, আমি আবার ফিরে আসবো।
প্রিয় কর্নেল সত্যিই ফিরে এসেছিলেন, একটি পা হারিয়ে। যেদিন তাঁকে প্রথম দেখতে যাই, ক্রাচে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে, কাছে টেনে নিয়ে বললেন, শোন, এখন আরও বড় কাজ সামনে। রাজনৈতিক স্বাধীনতার সাথে সাথে সত্যিকার মুক্তির স্বাদ না পেলে মানুষ প্রতারিত হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের দায়িত্ব এখানেই শেষ নয়।
সূত্র:
‘সমগ্র জাতির মধ্যে আমি প্রকাশিত’; আবু তাহেরের ৭৩তম জন্মদিন ও সিপাহী জনতার অভ্যুত্থানের ৩৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে কর্নেল তাহের সংসদের স্মারক প্রকাশনা। (১৪ নভেম্বর, ২০১১)।

bottom of page