১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্বে সামরিক বিজয় হলেও ’৭১ পরবর্তী সময়ে মুক্তিযোদ্ধারা সেই অর্থে রাজনৈতিক নেতৃত্বে আসীন হতে পারেননি। এমন ভাবনা থেকেই তাহের রচনা করেছিলেন ‘মুক্তিযোদ্ধারা আবার জয়ী হবে’। ওই নিবন্ধে তিনি বলেন, ‘[…] বাংলার দুর্ভাগ্য আইনানুগ উত্তরাধিকারীর বদলে সর্বস্তরের নেতৃত্ব এসেছে তাদেরই হাতে যারা প্রাক বিপ্লব যুগে ছিলেন ক্ষমতার উৎস। প্রশাসন যন্ত্র সেই পুরোনো ব্যক্তিরাই চালান। বাণিজ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও তারাই। যে সামরিক অফিসার পাকিস্তানী সৈন্যদের সাথে দাঁড়িয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নির্মূল করার জন্য ছিলেন সচেষ্ট তিনি আজ আরও উচ্চ পদে সমাসীন। যে পুলিশ অফিসার দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে সোপর্দ করেছে পাকিস্তানীদের হাতে তিনি আবার মুক্তিযোদ্ধাদের নামে হুলিয়া বের করতে ব্যস্ত। যে আমলারা রাতদিন খেটে তৈরী করেছে রাজাকার বাহিনী তারা মুক্তিযোদ্ধাদেরকে চাকুরী দিয়ে দয়া প্রদর্শনের অধিকারী। যে শিক্ষক দেশের ডাকে সাড়া দিতে পারেনি তিনিই আজ তরুণদের শিক্ষা দেওয়ার বাহানা করছেন। […]’ তাহের চেয়েছিলেন এই পরিস্থিতি বদলে দিতে। সে লক্ষ্যেই তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গঠন করেন জাসদের বিপ্লবী গণবাহিনী। একটি ঔপনিবেশিক সেনাবাহিনীকে গণমুখী বাহিনীতে রূপান্তরিত করতে তাহেরের প্রচেষ্টা মার্কসীয় ইতিহাসকে নিঃসন্দেহে সম্মৃদ্ধ করবে।
সর্বশেষ খবর ও ইভেন্ট